ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

থানচিতে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় হেলিকপ্টারে এ পর্যন্ত বরাদ্দ ৮২ মেঃ টন

বান্দরবান প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সাময়িক খাদ্যসংকট ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল থানচি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বনিক। থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ কামরুল ইসলাম পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আবু জাফর, উপজেলা চেয়ারম্যান ক্য হ্লা চিং মারমা, থানচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মং থোয়াই ম্যা রনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বকুলি মারমাসহ সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছে বলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সাময়িক খাদ্যসংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন হওয়ায় এবং অতিরঞ্জিত করায় থানচি উপজেলার ভাবমুতি ক্ষুন্ন হয়েছে। ভবিষতে যাতে এ ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে না হয় সেজন্য সকলকে শর্তক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের কোথাও খাদ্য সংকট নেই। সরকার স্বয়ং উৎপাদিত খাদ্যশষ্য দেশের বাইরে রফতানি করছে সেখানে খাদ্য সংকট থাকার কথা নয়। থানচিতে যেটা হয়েছে সেটা সাময়িক সংকট। যা পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র দুরদর্শীতায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। দুর্গত এলাকায় এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হেলিক্যপ্টর এর মাধ্যমে এ পযন্ত ৮২ মেঃটান চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে ৪১ মেঃটন চাল ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। বাকী ৪১ মেঃটন চাল জুনের প্রথম সপ্তায় বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভান্ডারে আরো ৩’শ মেঃটন চাল মওজুদ রয়েছে। সুতরাং দুর্গম ও দুর্গত এলাকায় কোন মানুষ খাদ্যাভাবে থাকবে না। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, থানচির দুর্গম এলাকার মানুষ যাতে অভাবে না পড়ে সেজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করা হবে। এদিকে এই পরিস্থিতি উত্তোরণে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা রেমাক্রী ও তিন্দু ইউনিয়নে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের দাবী জানান। তারা জানান, এই ২ ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা গুলোতে সড়ক যোগাযোগের কোন মাধ্যম নাই। নৌ পথে উৎপাদিত পন্য পরিবহন খরচ বেশী হওয়ায় বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। ফলে অভাব এবং খাদ্য সংকট লেগে থাকে। জুমে যে বছর ফলন ভাল হয় না সে বছর খাদ্য সংকট দেখা দেয় বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। তারা সড়ক যোগাযোগসহ দুর্গম এলাকায় পরিকল্পিতভাবে মসলা ও ফলজ বাগান সৃষ্টি করার জন্য দাবী জানান।

 

পাঠকের মতামত: